২৫শে বৈশাখ — বাঙালির প্রাণের উৎসব, রবীন্দ্রজয়ন্তী। এদিন জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যিনি বাংলা সাহিত্য, সংগীত, চিত্রকলা ও দর্শনের এক অমর প্রতিভা। ২০২৫ সালে তাঁর ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী পালিত হচ্ছে।
🖋️ রবীন্দ্রনাথ: এক বহুমাত্রিক প্রতিভা

রবীন্দ্রনাথ কেবল একজন কবি ছিলেন না; তিনি ছিলেন একাধারে সাহিত্যিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ, চিত্রশিল্পী ও সমাজচিন্তক। তাঁর লেখা “জন গণ মন” ভারতীয় জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে স্বীকৃত। বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য সম্পদ ‘গীতাঞ্জলি’র জন্য ১৯১৩ সালে তিনি নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।
🎶 রবীন্দ্রসংগীতের মাধুর্য
রবীন্দ্রসংগীত বাঙালির জীবনের সাথে গভীরভাবে জড়িয়ে। প্রেম, প্রকৃতি, ভক্তি, বেদনা—সব অনুভূতির অদ্ভুত এক স্পর্শ পাওয়া যায় তাঁর গানে। “আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে”, “একলা চলো রে”, কিংবা “আমার প্রাণের পরে”—প্রতিটি গানে যেন কবির আত্মা মিশে আছে।
🎉 রবীন্দ্রজয়ন্তীর উদ্যাপন
এই দিনটি বাংলা সংস্কৃতির এক বড়ো উৎসব। বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, সাংস্কৃতিক সংস্থা, এমনকি ঘরোয়া পরিসরেও নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কবিকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। আবৃত্তি, নৃত্য-নাট্য, গান ও আলোচনাসভা—সবকিছুর মধ্যেই রবীন্দ্রনাথ জীবন্ত হয়ে ওঠেন।
🌿 কবিগুরুর কাছ থেকে পাওয়া অনুপ্রেরণা
বর্তমান সময়েও তাঁর লেখা আমাদের জীবনে পথ দেখায়। তাঁর শিক্ষা, মানবতাবাদ ও স্বাধীনচেতা চিন্তাভাবনা আজও প্রাসঙ্গিক। তিনি বলেছিলেন—
সকল মানৱরে আমি একটুখানি করে ভালোবাসি
এ এক অশেষ মানবপ্রেমের বাণী, যা আজকের বিভাজনের যুগে আশার আলো দেখায়।
রবীন্দ্রজয়ন্তী কেবল একটি জন্মতিথি নয়, এটি বাঙালি সংস্কৃতির আত্মজ উপলব্ধি করার দিন। এই দিনটিতে আমরা আবার কবিগুরুর কাছে ফিরে যাই—ভাষার, গানের, ভালোবাসার ছায়ায়।
শুভ রবীন্দ্রজয়ন্তী।