অবশেষে এল কাঙ্ক্ষিত শিরোপা
নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে এক রোমাঞ্চকর ফাইনাল ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) ১৮ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে তাদের প্রথম আইপিএল শিরোপা ঘরে তুলল। আগের তিন ফাইনালে (২০০৯, ২০১১, ২০১৬) হারার পর এবার চতুর্থ প্রচেষ্টায় সফল হলো বেঙ্গালুরু দল।
ব্যাটসম্যান নয়, বোলাররাই দিলেন শিরোপার স্বাদ
বরাবরই আরসিবির ব্যাটিং লাইনআপ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হলেও, এই ম্যাচে বাজিমাত করলেন বোলাররাই। যেখানে ব্যাটসম্যানরা ২০ ওভারে ১৯০/৯ রানে থেমে যায়, সেখান থেকে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন বোলাররা।
প্যাটিদারের চমক: ক্রুনাল পান্ডিয়া এবং শেফার্ড
আরসিবি অধিনায়ক রাজত প্যাটিদার এক সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে মাঠে নামালেন অভিজ্ঞ ক্রুনাল পান্ডিয়াকে, যিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন—প্রভসিমরন সিং ও জশ ইংলিসের। এরপর রোমারিও শেফার্ডের বলে শ্রেেয়াস আইয়ার মাত্র ১ রানেই আউট হলে, পাঞ্জাবের ব্যাটিং বিপর্যয় আরও ঘনীভূত হয়।
প্রাথমিক আঘাত: ভুবি, ডায়াল ও হ্যাজলউডের কৌশলী স্পেল
শুরুর দিকেই পাঞ্জাবের ওপেনারদের চাপে ফেলেন আরসিবির পেসার ত্রয়ী—ভুবনেশ্বর কুমার (২/৩৮), ইয়াশ ডায়াল (১/১৮), এবং জশ হ্যাজলউড (১/৫৪)। তারা নিয়মিত লেংথ মেনে বল করে গতি পরিবর্তনের মাধ্যমে রান আটকাতে সফল হন।
বিরাট কোহলির আবেগঘন মুহূর্ত
বিরাট কোহলি ব্যাট হাতে খুব একটা ছন্দে ছিলেন না। তিনি ৩৫ বলে ৪৩ রান করে একটি কষ্টসাধ্য ইনিংস খেলেন। তবে ম্যাচ জেতার পর আবেগে ভেসে পড়েন, মাঠে হাঁটু গেড়ে কাঁদতে দেখা যায় এই কিংবদন্তিকে।
শেষ মুহূর্তের উত্তেজনা: শশাঙ্কের লড়াই
যদিও পাঞ্জাবের শশাঙ্ক সিং ৩০ বলে ৬১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন, কিন্তু ততক্ষণে আরসিবির বোলাররা জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছিল।
পাঞ্জাবের উজ্জ্বল মুহূর্ত: জিতেশ ও লিভিংস্টোন
পাঞ্জাবের ব্যাটিংয়ে জিতেশ শর্মা (১০ বলে ২৪) ও লিয়াম লিভিংস্টোন (১৫ বলে ২৫) ইনিংসের শেষদিকে গুরুত্বপূর্ণ রান এনে দেন, যা আরসিবির জন্য চ্যালেঞ্জিং টার্গেট তৈরি করে।
উপসংহার এই ম্যাচটি শুধু একটি ট্রফি জয়ের গল্প নয়, বরং দীর্ঘ প্রতীক্ষার, ব্যর্থতা পেছনে ফেলার এবং এক নতুন ইতিহাস লেখার গল্প। আরসিবির এই জয় কোটি ভক্তের স্বপ্নপূরণ এবং ক্রিকেটের আবেগঘন এক অধ্যায়।