১,০০০ কোটির ডিজিটাল লেনদেনে নজির গড়ল পশ্চিমবঙ্গ

পশ্চিমবঙ্গের জনপরিষেবায় ডিজিটাল রূপান্তরের অন্যতম সফল মডেল হয়ে উঠেছে বাংলা সহায়ক কেন্দ্রগুলি। রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যেই ই-লেনদেনের পরিমাণ ছুঁয়েছে এক হাজার কোটি টাকা — যা এক ঐতিহাসিক মাইলফলক।

শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স-হ্যান্ডেলে এই সাফল্যের কথা জানিয়ে লেখেন, “এটি জনপরিষেবায় স্বচ্ছতা ও দক্ষতার প্রতিফলন। এক কথায়, এই উদ্যোগ ‘ডিজিটাল বাংলা ইন অ্যাকশন’-এর প্রকৃত দৃষ্টান্ত।”

২০২০ সালের অক্টোবরে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে যাত্রা শুরু করে বাংলা সহায়ক কেন্দ্র প্রকল্প। জাতীয় ই-গভর্ন্যান্স প্ল্যানের অন্তর্ভুক্ত এই উদ্যোগ ২০২১ সালে একটি প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের মাধ্যমে সুসংগঠিত রূপ পায়।

বর্তমানে রাজ্যের গ্রাম পঞ্চায়েত, পুরসভা, ব্লক ও জেলা স্তরের দপ্তর মিলিয়ে মোট ৩৫৬১টি কেন্দ্র সক্রিয় রয়েছে। সাধারণ মানুষ এখানে এসে বিনামূল্যে সরকারি পরিষেবা যেমন সার্টিফিকেট আবেদন, স্কলারশিপ, স্বাস্থ্য, আবাসন সংক্রান্ত আবেদন ও তথ্য সংগ্রহের সুবিধা পান।

এছাড়াও কর প্রদান, বিদ্যুৎ বিল জমা, জাতিগত শংসাপত্র, রেশন কার্ড আবেদন ইত্যাদি নানা ধরনের পরিষেবা দেওয়া হয়। মোট ২৬০টি সরকারি পরিষেবা এবং ৯৭টি ই-ওয়ালেট লেনদেন ব্যবস্থা এখানে বিদ্যমান।

মুখ্যমন্ত্রী এই অর্জনের জন্য বাংলা সহায়ক কেন্দ্রের কর্মীদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, “অপারেটর এবং সহায়ক দলের সম্মিলিত পরিশ্রমই এই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।”
নবান্নর মতে, এটি রাজ্যের ডিজিটাল প্রশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *