এককালে বাঙালিদের স্বাস্থ্যদ্ধারের জায়গা ছিল দেওঘর।বলা হতো সেখানকার জল – হাওয়া নাকি স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব ভালো। বহু অবস্থাপন্ন গেরস্তের বছরে একবার দেওঘর যাত্রা ছিল বাঁধাধরা। যারা ধনী তারা নিজেদের বাড়িও বানিয়ে রাখতেন দেওঘরে যা রক্ষনা-বেক্ষন করতো বেতনভূক্ত কর্মচারীরা। বাবুরা সপরিবারে এলেই হতো এলাহী আয়োজন। পড়শী রাজ্যের সবুজালি আর পাহাড়ে ঘেরা ছবির মতো জায়গা কাশি বা বেনারসের মতোই ছিল বাঙালির ‘ সেকেন্ড হোম ‘। ৭-৮ ঘন্টার ট্রেন যাত্রায় সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায় দেওঘর।
দেওঘরের ইতিহাস আর পৌরাণিক গল্প ছাড়াও এই শহরের একটু বাইরে বেরোলেই মন ভোলাবে ছোটো – বড়ো পাহাড় আর সবুজালি। ধার্মিক হন বা না হন এখানকার বৈদ্যনাথ মন্দির দর্শন না করলে দেওঘর ভ্রমণ বৃথা। যা দ্বাদশ জ্যোতিরলিঙ্গের একটি।
পৌরাণিক মতে স্বয়ং রাবনের হাতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো এই মন্দির। ইতিহাস বলছে বৈদ্যনাথের মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৫৯৬ খ্রিস্টাব্দে।মন্দির চত্বরে বৈদ্যনাথ ছাড়াও আরও বহু দেবদেবীর মন্দির রয়েছে।
দেওঘরের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলি হলো জয়দূর্গা শক্তিপীঠ,নওলাখা মন্দির, ত্রিকূট পাহাড়, কুন্ডাশ্বরী মাতার মন্দির, তপোবন ইত্যাদি।