কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এ. আই. হলো এমন একটা ধরণের সংগনক প্রযুক্তি, যা মানব বুদ্ধিমত্তার মতন কাজ করে, যেমন শেখা, যুক্তি করা, সমস্যা সমাধান, উপলব্ধি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার মতো সক্ষমতা। এটি সংগনক বিজ্ঞানের একটি গবেষণা ক্ষেত্র, যেখানে গবেষকরা এমন পদ্ধতি ও সফটওয়্যার তৈরী ও বিশ্লেষণ করেন যা যন্ত্রকে পরিবেশ উপলব্ধি করতে এবং শেখা ও বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম করে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একটি একাডেমিক শাখা হিসাবে ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে এই ক্ষেত্রটি ইতিহাসে নানা সময়ে উচ্চাশা ও হতাশার মধ্যে দিয়ে গেছে। হতাশার সময় গুলিকে এ. আই. শীতকাল হিসাবে গন্য করা হয়। ২০১২ সালের পর ডিপ লার্নিং পূর্ববর্তী কৌশলগুলির তুলনায় উন্নত ফলাফল দেখানোর কারণে এ. আইতে আগ্রহ ও বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পায়। ২০১৭ সালের পর ট্রান্সফরমার স্থাপত্যের আবির্ভাব এই অগ্রগতিকে আরও ত্বরান্বিত করে এবং ২০২০ এর শুরুর দিকে বিলিয়ন – বিলিয়ন ডলার এক্ষেত্রে বিনিয়োগ হতে থাকে।এই সময়কে এ. আই বুম বলা হয়। এ. আই বুম এর মধ্যে উন্নত উৎপাদক এ. আইয়ের আবির্ভাব ঘটে যা কনটেন্ট তৈরী ও সম্পাদনে সক্ষম। এতে কিছু অনাকাঙ্খিত প্রভাব ও ক্ষতি সামনে আসে এবং ভাবিষ্যতের ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ তৈরী হয়, ফলে নিয়ন্ত্রক নীতিমালা নিয়ে আলোচনা শুরু হয় যাতে প্রযুক্তির নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা হয়।
কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বা এ. আইয়ের কয়েকটি পরিচিত প্রয়োগের উদাহরণ হলো উন্নত ওয়েব অনুসন্ধান ইঞ্জিন ( যেমন গুগল সার্চ ), সুপারিশ ব্যবস্থা ( যেমন ইউটিউব, আমাজন ), ভার্চুয়াল সহকারীতা ( যেমন সিরি, আলেক্সা ), স্বয়ংচলিত যানবাহন ( যেমন ওয়েমো ), উৎপাদক ও সৃজনশীল সরঞ্জাম ( যেমন চ্যাটজিপিটি ও এ. আই. চিত্রশিল্পী )এবং কৌশিলগত খেলাগুলিতে অতিমানবীয়তা ( যেমন দাবা ও গো )প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।