২১শে সেপ্টেম্বর, রবিবার, সায়েন্স সিটি মিনি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হল অর্পিতা ডান্স স্কুলের অষ্টম বার্ষিক অনুষ্ঠান। এই নৃত্য প্রতিষ্ঠানটি একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে পরিচিত, যা সর্বভারতীয় সঙ্গীত ও সংস্কৃতি পরিষদের আওতাধীন।
অর্পিতা ডান্স স্কুলের অধ্যক্ষ অর্পিতা চক্রবর্তী, যিনি ছোটবেলা থেকেই নৃত্যের প্রতি গভীর আকর্ষণ অনুভব করেন। তাঁর প্রয়াত পিতা, শ্রী গোপাল চন্দ্র দে, এর অনুপ্রেরণায় আজ তিনি একজন সফল নৃত্যশিল্পী এবং শিক্ষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ —‘বিনি সুতোর টান’ সিনেমার প্রযোজক ভুবান দে, এক্সিকিউটিভ প্রযোজক মৌসুমী গুহ, পরিচালক সত্যজিৎ দাস, শিশুশিল্পী জিয়া মুখার্জি, এবং প্লেব্যাক গায়ক মিতাস ভট্টাচার্যী। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ছিলেন রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী পর্ণা মুখার্জি, কথাকলি নৃত্যশিল্পী দীপ্তাশু পাল, এবং কলকাতার গুণী পূজা কমিটির সদস্যরা। তাদের হাতেই প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানটি শুরুতেই স্কুলের নিজস্ব প্রযোজনা ‘নীতি’ পরিবেশন করা হয়, তারপরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘তাসের দেশ’ প্রদর্শিত হয়, যা দর্শকদের মন কেড়ে নেয়। এই অনুষ্ঠানে সবচেয়ে ছোট থেকে বড়—প্রায় সকল শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছে রবীন্দ্রসঙ্গীত, আধুনিক গান এবং সৃজনশীল নৃত্যে। বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে তিন থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের ‘মোমের পুতুল’ নৃত্য এবং ‘ছোটদের দুর্গা’ পরিবেশনা।

অনুষ্ঠানের মধ্যবর্তী সময়ে গুণীজনদের সংবর্ধনা, এস.এস.এস.পি. রেজাল্টের ভিত্তিতে সংসাপত্র বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক বক্তব্য পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি, ওল্ড বালিগঞ্জ স্বরলিপি দলের মনোমুগ্ধকর সংগীত পরিবেশনা অনুষ্ঠানটিকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।
সামগ্রিকভাবে, অর্পিতা ডান্স স্কুলের এই বার্ষিক অনুষ্ঠান ছিল একটি অনন্য সাংস্কৃতিক মিলনমেলা—যেখানে নৃত্য, সঙ্গীত ও সৃষ্টিশীলতা একসঙ্গে একত্রিত হয়ে একটি সুরেলা সন্ধ্যার সৃষ্টি করেছে।