১৯৭৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘শোলে’ সিনেমার পাশাপাশি, অমিতাভ বচ্চন কাজ করেছিলেন চার্লস ডিকেন্সের খ্যাতনামা উপন্যাস ‘অলিভার ট্যুইস্ট’ ভিত্তিক এক অভিনব প্রকল্পে, যার নাম ছিল ‘সন্টি’। এটি ছিল একটি অহমিয়া ভাষার সিনেমা এবং এর পরিচালনায় ছিলেন অজয় মিত্র। দুর্ভাগ্যক্রমে, এই ছবিটি কখনও প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির সুযোগ পায়নি।
সিনেমায় ‘সন্টি’ চরিত্রের বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন। অন্যদিকে, ফাগিন চরিত্রের পরিবর্তে ‘ফকিরচাঁদ’ এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অহমিয়া অভিনেতা দীনেশ দাস। ছবিটির শুটিং হয়েছিল কলকাতার টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োতে। ‘সন্টি’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিশু অভিনেতা মৃদুল।
একই কাহিনীর উপর ভিত্তি করে বাংলা ও ওড়িয়া ভাষায় চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছিল। ১৯৬১ সালের বাংলা ছবিতে মানিকের চরিত্রে অভিনয় করেন তৃণাঞ্জন মিত্র এবং ফকিরচাঁদে ছিলেন শম্ভু মিত্র।
বিনোদন জগতের প্রযোজক টিটো ও টোনি জুনেজার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কলকাতায় আসেন অমিতাভ বচ্চন। সেখানেই ছবিটির পরিকল্পনা গড়ে ওঠে। ওই সময় অমিতাভ দীনেশ দাসকে মুম্বই আসার জন্য আহ্বান জানান, কিন্তু দীনেশ চাকরি ও পারিবারিক কারণে এতে রাজি হননি।
যদি ‘সণ্টি’ মুক্তি পেত, তাহলে অমিতাভের কেরিয়ারে এক নতুন ভাষার চলচ্চিত্র যুক্ত হতো। দীনেশ দাস আজও মনে করেন, ‘শোলে’ চলচ্চিত্রের সাফল্যের পর ‘সণ্টি’ মুক্তি পেলে সেটিও জনপ্রিয়তা লাভ করতো।