বলিউড সিনেমার জগতে আপনাকে স্বাগত। যেখানে বছরের পর বছর ভারতের কয়েকটি রাজ্যকে নিয়ে একই ধারা অব্যহত রাখা হয়ে আসছে । যেমন যদি আপনি কোনো সিনেমা দেখেন আপনার মনে হতেই পারে ‘ আরে বিহারীরা তো এমন নয় কিংবা সব পাঞ্জাবীরাই কি হুইস্কি ছাড়া টিকে থাকতে পারেনা অথবা সব গোয়ানিজরাই কি গিটার বাজিয়ে থাকে ‘।
আসুন আপনাদের জানিয়ে দিই কিভাবে বলিউড এর একই ধারা আজন্ম প্রবাহিত হয়ে আসছে।
(১) সাউথ মানেই মাস্টার পিল্লাই : ১৯৬৮ সালে সায়রা বানু অভিনীত ‘ পারোসন ‘ ছবিতে সুন্দরী সায়রাবানুর প্রেমিক ছিল সাদামাটা সুনীল দত্ত। যদিও ছবির মূল চরিত্র ছিল মেহমুদ অভিনিত মাস্টার পিল্লাই।যে ছিল একজন সাউথ ইন্ডিয়ান মিউজিক টিচার। যার অদ্ভুত উচ্চারণ ও স্বভাবসিদ্ধ ‘ আইও আইও ‘ দর্শকদের হাসালেও এই কথার ধরণ আমরা সব বলিউড ছবিতেই দেখে থাকি ” চেন্নাই এক্সপ্রেস “,” নেয়ী পারোসন ” ইত্যাদিতে।
(২) বিহার ( বন্দুক, খৈনি, পান ও অরাজনীতি ) :”অপহরণ ” ২০০৫ সালে অজয় দেবগান এর সিনেমার সংলাপ ‘ ইয়ে বিহার হ্যা বাবু, ইহা সিস্টেম কুছ অর হি হ্যা ‘ এর মতো সংলাপ বিহারকে আইন বিরুদ্ধ রাজ্যের তকমা দেয়। প্রকাশ ঝা এর ‘ গঙ্গাজল ‘ বা ‘ ওমকরা: এর মতো সিনেমাও বন্দুক, লুঠতরজে মোরা বিহারের ছাপ দর্শক মনে ফেলে। বলিউডের জন্য বিহার একটি মাফিয়া চালিত অঞ্চল।
(৩) পাঞ্জাব – সর্ষের ক্ষেত ও হুইস্কি : ” দিলয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে ” এর সিমরান অর্থাৎ কাজলের সর্ষে ক্ষেতে দৌড়ানো বলিউড সিনেমার একটি আইকনিক দৃশ্য। যা পাঞ্জাব প্রসঙ্গ এলেই সব সিনেমায় চোখে পরে ( যাব উই মেট )।’ গুড নিউজ ‘,’ যুগ যুগ জিও ‘ সিনেমায় ভাঙরা বিটে বিশাল বিয়ে ও হুইস্কির সমাহার পাঞ্জাবীদের জীবনের প্রতীক হয়ে ওঠে।’উড়তা পাঞ্জাব’ এ পাঞ্জাবকে ড্রাগের শহর হিসাবেও চিহ্নিত করা হয়েছে।
(৪)গোয়া ( সৈকত, মদ ও ব্যান্ড ):বলিউডে গোয়া মানেই সর্বদা উল্লাস ও ড্রাগের স্বর্গ। যেমন ‘ গো গোয়া গন ‘।
(৫) বাংলা ( রসগোল্লা, সংস্কৃতি ) : ‘ পরিণীতা ‘,’ কাহানি ‘,’ পিকু ‘,’ মেরি পেয়ারী বিন্দু ‘ কিংবা নতুন ‘ রকি ওর রানী কি প্রেম কাহানি ‘ সবেতেই বাংলিদের রসগোল্লা প্রেমি আর সংস্কৃতিবান হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে।
সময় এসেছে এবার বলিউডের এই ‘ লার্জার দেন লাইফ ‘ সিনেমা গুলিতে কিছু সঠিক তথ্য দেওয়ার। কারণ বলিউড না এগোলেও দর্শকরা কিন্তু এগিয়ে গেছে।