দেশজুড়ে করোনার প্রকোপ বাড়ছে
ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নতুন করে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগে সতর্কতা জারি হয়েছে। গত ২ জুন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩,৯৬১। এই ঊর্ধ্বগতি মূলত পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, কেরালা ও গুজরাটে লক্ষ্য করা গেছে।
করোনায় মৃত্যু সংখ্যা বেড়েছে
কেরালা ও কর্ণাটক থেকে দুইজন নতুন মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, যার ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৮। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই underlying illnesses থাকা ও অটিকা নেওয়া না থাকা রোগী বলে জানা গেছে।
রাজ্যভিত্তিক করোনা পরিস্থিতি
- কেরালায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১,৪০০, দেশের সর্বোচ্চ।
- মহারাষ্ট্রে ৪৮৫ সক্রিয় রোগী, ৭ জনের মৃত্যুর খবর ৩১ মে পর্যন্ত।
- দিল্লিতে ৪৩৬ সক্রিয় রোগী, গুজরাটে নতুন ৮২ জন আক্রান্তের ফলে সংখ্যা বেড়ে ২৮৭।
- তামিলনাড়ু ও উত্তরপ্রদেশেও ক্রমাগত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
- সিক্কিমে মাত্র ৩টি সক্রিয় রোগী, যা অন্য রাজ্যগুলোর থেকে অনেক কম।
নতুন ভ্যারিয়েন্ট NB.1.8.1 এবং LF.7-এর প্রভাব
এই করোনা ভাইরাসের দুটি নতুন স্ট্রেন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, যার নাম NB.1.8.1 ও LF.7। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, উচ্চ সংক্রমণশীল এই ভ্যারিয়েন্টগুলির লক্ষণ দেখতে হবে, যেমন: জ্বর, নাক বন্ধ হওয়া, বমি বমি ভাব, পাচনতন্ত্রের সমস্যা ও গলা ব্যথা।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ
স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও বিশেষজ্ঞরা জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন। বিশেষ করে যারা অটিকা নেননি বা বয়স বেশি এবং বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে, তাদের আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সংক্রমণ রোধে জনসমাগম এড়ানো এবং নিয়মিত হাত ধোয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পরীক্ষা ও চিকিৎসার গুরুত্ব
৪ দিনের বেশি উপসর্গ দেখা দিলে অবিলম্বে RT-PCR পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা ব্যবস্থাও প্রস্তুত রয়েছে যাতে কোন প্রকার রোগীর চিকিৎসায় দেরি না হয়।
ভারতে করোনার নতুন ঢেউ মোকাবেলায় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে—এটাই এখন সময়ের দাবী।