গৌড়ীয় মিশনের যে চৈতন্য মহাপ্রভু মিউজিয়াম আছে, তার পঞ্চম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে গতবছর 10.08.24. এ গৌড়ীয় নৃত্যের কর্মশালার আয়োজন হয়েছিল, একশত শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল। সেই সফলতা লাভ করায় এবং শিক্ষার্থীদের আগ্রহে এইবছর 2রা জুন থেকে চৌঠা জুন গৌড়ীয় মিশনের উদ্যোগে সাড়ে গৌড়ীয় নৃত্যের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হল। যদিও গরমের ছুটির পর স্কুল কলেজ খুলে গেছে, অনেকে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অফিস ছুটি না পাওয়ার ফলে অংশগ্রহণ করতে পারেনি, তবুও প্রায় ষাটজন মত অংশগ্রহণ করেছে। তিনদিন সকাল এগারোটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটে/ পাঁচটা অবধি ক্লাস চলেছে, শিক্ষার্থীদের উত্সাহে। বিভিন্ন স্কুলের গৌড়ীয় শিক্ষার্থী ছাড়াও অন্য নাচ গান থেকেও এসেছে, যেমন – কুচিপুড়ী, ভরতনাট্যম, কথক, পদাবলী কীর্তন ইত্যাদি থেকে।
প্রথম দিন উদ্বোধনী পর্বে হৃষিকেশ মহারাজ ( সহকারী সেবা সচিব) ও সুরবন্ধু প্রভু ভাষণ দিলেন এবং উত্তরীয় – পুষ্পস্তবক দিয়ে আমাকে ও অমিতাভকে সম্মানিত করলেন।

এরপর কর্মশালা শুরু হল। PPTপ্রদর্শন সহ গৌড়ীয় নৃত্যের সংক্ষিপ্ত আলোচনা করার পর অমিতাভ গৌড়ীয় গানটি – শ্রী বৃন্দাবন দাসের চৈতন্য ভাগবত থেকে চৈতন্য বন্দনা শিক্ষার্থীদের করালেন। এরপর সেই নাচ শেখানো শুরু হল। তিনদিনে শিক্ষার্থীরা আনন্দের শিখল। আমার সাথে সহকারী হিসেবে ড. শতাব্দী আচার্য এবং সমর্পণ সেনগুপ্ত ।
সুরবন্ধু প্রভু অত্যন্ত সুন্দরভাবে দক্ষতার সঙ্গে সমগ্র অনুষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে আগামীতে এই কর্মশালা online এর পাশাপাশি offline ও চালু করা হবে, কারণ দেশ বিদেশ থেকে অনেক অনুরোধ এসেছে। কর্মশালা সমাপান্তে অংশগ্রহণকারীদের শংসাপত্র প্রদান করা হয়। সুরবন্ধু প্রভু আরও বললেন আমরা মহাপ্রভুর নিত্য যে প্রার্থনা করি সকাল বিকেল, সেই সাহিত্যের যে এত সুন্দর নৃত্যরূপ হতে পারে তা ভাবতে পারছি না। গৌড়ীয় নৃত্যের প্রধান নর্তক মধ্যযুগের শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু।
মহুয়া মুখার্জি
প্রাক্তন অধ্যাপক নৃত্য বিভাগ