সুইস শহরে আগমন আর্ট বাসেল-এর তারই সাথে শত শত গ্যালারিতে হাজার হাজার শিল্পের চিত্র পরিবেশনা শুরু। আর সেখানেই পৌঁছানোর জন্য দর্শকদের পেরোতে হবে একটি বড় পাবলিক স্কয়ার এবং সেই ফ্যাকাশে পাবলিক স্কুয়ারটি এখন গড়ে উঠেছে এক শৈল্পিক সৃষ্টিতে। সেই রূপান্তরের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব যায় এক বিখ্যাত জার্মানি চিত্র শিল্পের ওপর, তাঁর নাম ক্যাথেরিনা গ্রোসে।
পোস্ট হারিকেন – ক্যাটরিনা নিউ অরলিনসের একটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি থেকে নিউ ইয়র্কের রকাওয়েসের একটি নিন্দিত কাঠামো পর্যন্ত রূপান্তরিত করার জন্য ক্যাথেরিনা গ্রোসে বিখ্যাত। তাঁর কিছু খ্যাতনামা চিত্রকর্মগুলি হল নিউ ইয়র্কের MoMA PS1 এবং প্যারিসের সেন্ট্রাল পম্পিডো মেজে – যা সমসাময়িক শিল্প জাদুঘর কর্তৃক কমিশনপ্রাপ্ত। তাঁর মূল অস্ত্র হল স্প্রে পেইন্ট। তিনি এই পাবলিক স্কোয়ারটিও সাদা ও ম্যাজেন্টা স্প্রে পেইন্ট দিয়ে সাজিয়েছেন।

তাঁর শিল্পকলা প্রসারিত হয়েছে বাসেলের মেসেপ্ল্যাটজের ঝর্ণা, বেঞ্চ, থেকে শুরু করে বিন পর্যন্ত। তাঁর এই শিল্পকর্ম প্রতিটি কোণাকে ছুঁয়ে গেছে। এমনকি সেখানে প্রস্তুত থাকা একটি ঘড়িকেও কিছুটা রাঙিয়ে দিয়েছেন তিনি সাদা এবং ম্যাজেন্টা রং এ।
জানা যায় এই স্কয়ারটির মাপ হাজার স্কয়ার মিটারের থেকেও অনেক বেশি, প্রায় একটা ফুটবল খেলার মাঠ বললেই চলে। সেই জায়গায় যখন কাজ করেন গ্রোসে, তিনি জানিয়েছেন তাঁর কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ এর সাথে সাথে ছিল এই কাজটির থেকে আরও শেখার এক প্রক্রিয়া। এই কাজটির মাধ্যমে তাঁর চিন্তাভাবনা ও চিত্রকলার আরও প্রসার ঘটানোই তাঁর মূল লক্ষ্য ছিল।
তাঁর কথায় যদিও শিল্পীরা আগে থেকেই একটা কাজের মডেল বানিয়ে রাখেন কিন্তু যখনই সেই চিন্তা নিয়ে আসল জায়গায় কাজ করা হয় তখন তার ফলাফল সর্বদাই চমক এনে দেয় গ্রোসের চোখে।
লন্ডনের সেরপেন্টিন গ্যালারির নাটালিয়া গ্রাবোস্কা যিনি এই শিল্প এবং শিল্পের কাজটিকে বাছাই করে বার করেছিলেন, লক্ষ্য করেছেন গ্রোসে যখন কাজ করেন তখন সেটি খুব স্বজ্ঞাতভাবে এবং দেখেন কাজটি তাঁকে কোন সীমান্ত পর্যন্ত নিয়ে যায়।
ক্যাথেরিনা তাঁর চিত্রকলা সম্পর্কে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছেন যে তাঁর চিত্র সর্বত্র সবচেয়ে অল্পকালীন সময়ের জন্য থাকে। এই চিত্রপ্রদর্শনী শেষ হলেই তাঁর এই কাজকে ধুয়ে ফেলা হবে বলেই তিনি জানালেন। আর ঠিক এই বিশেষত্বটিই তাঁর বড়ই ভালো লাগে, কারণ তাঁর ধারণা এটি তাঁর কাজের সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে তোলে, যা থাকে ক্ষণিকের জন্যে কিন্তু সেটি দর্শনার্থীদের মনে গেঁথে যায় চিরস্থায়ীভাবে।