সর্বভারতীয় সঙ্গীত ও সংস্কৃতি পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত তিন দিনের বিশেষ নৃত্যোৎসব “গুরু গোবিন্দন কুট্টি নৃত্যোৎসব” একটি নজরকাড়া সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হলো। মহান কথাকলি নৃত্যশিল্পী গুরু গোবিন্দন কুট্টির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল, যা নৃত্যকলার একটি অসাধারণ মেলবন্ধনে পরিণত হয়।
উৎসবের তিন দিন জুড়ে বিভিন্ন শৈলীর শিল্পীরা তাঁদের সেরা নৃত্য প্রদর্শন করেন। মঞ্চে এটি ভরতনাট্যম, কত্থক, ওডিসি, গৌড়ীয় নৃত্যসহ বিভিন্ন শাস্ত্রীয় ও আধুনিক নৃত্যের চমৎকার সমাবেশ ছিল। প্রতিটি পরিবেশনায় শিল্পীদের নিবেদন, পরিশ্রম ও সৃজনশীলতার উজ্জ্বল প্রকাশ পাচ্ছিল। দর্শকদের মনে গভীর ছোঁয়া প্রদান করা এই পরিবেশনাগুলো উৎসবটিকে বিশেষ এক মাত্রা দিয়েছে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সর্বভারতীয় সঙ্গীত ও সংস্কৃতি পরিষদের সম্পাদক ড. শান্তনু সেনগুপ্ত, গৌড়ীয় নৃত্যশিল্পী ড. মহুয়া মুখোপাধ্যায় এবং কত্থক শিল্পী গুরু অমিতা দত্ত। তাঁদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানের ভব্যতা বৃদ্ধি করেছিল। অতিথিরা শিল্পীদের অসাধারণ পরিবেশনার প্রশংসা করেছেন এবং মন্তব্য করেন, গুরু গোবিন্দন কুট্টির মতো মহান শিল্পীর স্মরণে এইভাবে তরুণ ও প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের একত্রিত করা নৃত্যশিল্পের উত্সাহকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠবে।
শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রী এবং অন্যান্য সম্মানিত অতিথিদের উপস্থিতি ও সহযোগিতায় উৎসবটি একেবারে উষ্ণ এবং প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল। আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং অংশগ্রহণের কারণেই এই তিন দিনের আয়োজন সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
গুরু গোবিন্দন কুট্টি নৃত্যোৎসব কেবল একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানই নয়; এটি নৃত্যকলার প্রতি শ্রদ্ধা, সাধনা ও ঐতিহ্যের একটি গর্বিত প্রতিফলন। সংশ্লিষ্টরা আগামী বছর এটির আরও বৃহত্তর আয়োজনের আশা প্রকাশ করেছেন।