ছাতু নামটি এসেছে সংস্কৃত
” সক্তু ” শব্দ থেকে। যার অর্থ হলো মোটা করে গুঁড়ো করা শুকনো বার্লিজাতীয় শস্য। এটি একটি প্রাচীন খাদ্য যার উল্লেখ আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও পাওয়া যায়। ছাতু সাধারণত ভাজা যব, ছোলা বা অন্য শস্য থেকে প্রস্তুত হয়ে থাকে।
মূলত তিব্বত এ আবিষ্কার হলেও ভারতে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য এর প্রধান উপকারিতা হলো এটি ফাইবার সমৃদ্ধ ও পেট ফাঁপা রোধক। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে। স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকে সমর্থন করে বিপাকে বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এটি চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে ও পেট ভারী রাখে। সামগ্রিক ক্যালোরি কমায় ও ওজন কমাতে সাহায্য করে। ক্লান্তি দূর দূর করে ও আয়রন এর ঘাটতি পুরন করে। কেসিন এলাৰ্জি যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য এটি ভালো বিকল্প।
মুলতানি মাটি ও লেবুর রস সহযোগে এটি ত্বকের স্ক্রাব এর কাজ ও করে থাকে।
বিহারীদের বিশেষ জনপ্রিয় হলেও সারা ভারতে এর চাহিদা রয়েছে। সোনা যায় মহারাজা শিবাজিও তার সৈনিকদের যুদ্ধের আগে এই ছাতুর সরবত খাইয়ে থাকতেন এবং মাসহারা হিসাবেও সৈনিকরা নির্দিষ্ট পরিমান ছাতু পেয়ে থাকতো।
ছাতুর সরবত, লিট্টি, কচুরি, মিষ্টি নানারকম ভাবে এর রসনা তৃপ্ত হয়ে থাকে। দাম কম ও মান ভালো হওয়ার কারণে ছাতু সর্বগ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে।