হাওড়া (রবীন্দ্র) সেতুর ইতিহাস, অবস্থা ও সাহিত্যিক প্রভাব

হাওড়া ব্রীজ, যাকে ১৯৬৫ থেকে রবীন্দ্র সেতু বলা হয়, একটি স্টিলের ব্যালেন্সড ক্যান্টিলিভার ব্রজ, হুগলি নদীর ওপর সাড়ে সাত শত মিটার দৈর্ঘ্যে প্রসারিত । ১৯৩৬-৪২ সালের মধ্যে নির্মিত এবং ১৯৪৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি সাধারণ মানুষের জন্য খোলা হয় । ব্রিটিশ রেণ্ডেল, পালমার ও ট্রিটটন দ্বারা ডিজাইন, এবং ব্রেইথওয়েট, বার্ন ও জেসসপ দ্বারা নির্মিত হয় ।

গঠন

  • স্টীল ব্যবহার: প্রায় ২৬,৫০০ টন (মুখ্যতঃ টাটা স্টিল থেকে) ।
  • রিভেটায় গঠন: একটি পুঁজি ছাড়া নির্মিত, শুধুমাত্র রিভেট দ্বারা যুক্ত ।
  • আকৃতি: কেন্দ্রীয় সসপেন্ডেড স্প্যান ৪৫৭ মিটার, মোট দৈর্ঘ্য ৭০৫ মিটার ।

যুগে যুগে পরিবর্তন

  • ১৯৪০-এর দশকে WWII–এর কারণে স্টীল সরবরাহ কমে যায়; ৩,০০০ টন ইংল্যান্ড থেকে, বাকি টাটা স্টিলে স্থানীয়ভাবে আসার ফলে দেশীয় সক্ষমতা উজ্জ্বল হয় ।
  • ১৯৯৩–এ, ট্রাম চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় যেহেতু অতি যানবহনের কারণে ব্রিজে চাপ বেড়ে যায় ।
  • আজকের দিনেও, প্রতিদিন ~১,০০,০০০ যানবাহন ও ১৫০,০০০ পথচারী পারাপার হন ।

অবহেলা ও দূষণ

দূষণ, টুস্ট-গুটকা ও জলের পল্যুশনের কারণে ব্রিজের নিচের অংশ ক্ষয়ে পড়ছে। বৃবির ছায়ায় দেশীয় নাগরিকেরা নিজেদের ঐতিহাসিক নিদর্শনকে ছোট করছেন—যা এখন দ্রুত পদক্ষেপ ছাড়া আরও নষ্ট হবে।

স্বাধীনতা সংগ্রাম

শহরের দ্বার হিসেবে, হাওড়া ব্রিজ স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় হুগলির জলে দ্রাঘিমার মুখ বাঁচিয়ে রাখা ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক রেলিং। হাওড়ার স্থানীয় মানুষ—জেলা কর্মীরা—নেতাজির কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন । ব্রিজের নিচে জেগে ওঠা বাঙালি এসব স্মৃতি আজ আর ছায়া মতো রয়ে গেছে।

কবি ও সাহিত্যিক

  • শঙ্খ ঘোষ লিখেছেন, “হাওড়াব্রীজ … দীর্ঘ নিরব পর্যবেক্ষক” হিসেবে বিভক্ত বেদনার সাক্ষী ।
  • ভাস্করানন্দ ভূক্ত রচিত কবিতায় ব্রিজ “জনতার উপরে মাথা উঁচু রেখে তুলে ধরে অতীতের গর্ব” ।
  • Deepak Kumar Pattanayak–এর ‘A Passage to Heaven’ এ ব্রিজকে “স্বর্গের পথ হিসেবে” উপস্থাপন করেছেন।

সেবনবিরতির ছায়া থেকে মুক্ত হয়ে, হাওড়া ব্রিজ শুধু কলকাতার নয়—ভারতের সংগ্রামী স্মৃতির এক অনন্য চিহ্ন। আমাদের সুরক্ষার হাত বাড়িয়ে এ ধারাবাহিক ঐতিহ্য রক্ষা করাটা নাগরিক কর্তব্য হয়ে উঠেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *