হিন্দু মতে নারদ মুনি সর্ব প্রথম এই পৃথিবীতে সংগীতের সৃষ্টি করেন এবং ‘ নাদ ব্রহ্মা ‘ এর জ্ঞান প্রদান করেন। এছাড়া পুরাতাত্বিক গন ‘ইন্দাস ভ্যালি’ সভ্যতার মধ্যে অনেক বাদ্য যন্ত্র আবিষ্কার করেন যা থেকে ভারতীয় সংগীতের সাথে ইতিহাসের মানব সভ্যতার প্রাচীনতা আমাদের চোখের সামনে আসে।
ভারতীয় সংগতের উৎস বলা হয় সাম বাদকে। সাম বেদকে প্রায়শই ‘ গানের বই ‘ বা ‘ মন্ত্রের বেদ ‘ বলা হয় কারন এতে সুর ওমন্ত্রের একটি সংগ্রহ রয়েছে। এটি হিন্দু ধর্মের প্রধান চারটি বেদের একটি।’ সাম ‘ মানে গান বা সুমিষ্ট স্বর এবং ‘ বাদ ‘ মানে জ্ঞান বা ধর্ম গ্রন্থ। সাম বেদের বেশির ভাগ মন্ত্রই ঋক বেদ থেকে নেওয়া হয়েছে যা বৈদিক স্ত্রোত্র ও মন্ত্রের একটি সংগ্রহ।
ভারতিয় সংগীত কে মূলত প্রধান দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
(১) শাস্ত্রীও সংগীত (২) লোক সংগীত।
শাস্ত্রীয় সংগীতের আবার প্রধান দুটি ধারা রয়েছে ( ক ) হিন্দুস্তানী সংগীত ( উত্তর ভারতে প্রচলিত )
( খ ) কর্ণাটক সংগীত ( দক্ষিণ ভারতে প্রচলিত )।
এই দুটি ধারা ছাড়াও ভারতীয় সংগীতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের লোক সংগীত, আধুনিক সংগীত এবং অন্যান্য।
ভারতীয় সংগীতের ১৪ তি ধারা হলো যথাক্রমে –
- খেয়াল
- কর্ণাটক
- ঠুমরি
- টপ্পা
- ধ্রুপদ
- ঋতু
- সুফি
- ধর্ম মূলক
- ফোক
- দেশাত্ম বোধক
- রবীন্দ্র সংগীত
- ভজন
- কীর্তন
- সিনেমা
ভারতীয় সংগীত হাজার হাজার বছর ধরে বিকশিত হয়েছে ও এর একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস আছে। সংগীতের এই বৈচিত্র এবং ভূ – অবস্থানে এর বিকাশের কারণে ভারতীয় সংগীত বিশ্ব জুড়ে পরিচিতি লাভ করেছে।