সীমান্তে যুদ্ধপরিস্থিতির আবহে এবার দেশের ভেতরে নাগরিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (অমিত শাহের দফতর) সমস্ত রাজ্যের মুখ্যসচিব ও পুলিশ প্রধানদের জানিয়ে দিয়েছে—বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা ‘ফ্রি হ্যান্ড’ বা সম্পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে পদক্ষেপ নিতে পারেন, যদি নাগরিক নিরাপত্তা বা জনজীবন বিঘ্নিত হয়।
সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে এখন কার্যত যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি। গোলাগুলি, যুদ্ধবিমান প্রস্তুতি, গোপন সামরিক অভিযান—সবকিছুই ইঙ্গিত দিচ্ছে, বিষয়টি আর শুধুই কূটনীতির মধ্যে নেই।
এই আবহেই অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটাও হয়ে উঠেছে সমান গুরুত্বপূর্ণ।
মুখ্যসচিবদের কাছে কী বার্তা গেল?
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সমস্ত রাজ্যের মুখ্যসচিবদের এক নির্দেশনায় জানিয়েছে:
স্থানীয় প্রয়োজনে রাজ্য সরকার নিজের মতো পদক্ষেপ নিতে পারবে—পরিস্থিতি বুঝে কারফিউ, জ্বালানি সংরক্ষণ, জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ, সাইবার নজরদারি ও জরুরি পরিষেবাগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।
এই প্রথম নয়—কিন্তু এইবার পরিস্থিতির গুরুত্ব এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, রাজ্য স্তরের সিদ্ধান্ত নিতে কেন্দ্রীয় অনুমতির প্রয়োজন নেই।
নাগরিক নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রশাসনিক তৎপরতা বাড়ানো হচ্ছে:
- রাজ্যে রাজ্যে নাগরিক সুরক্ষা সেল গঠন করা হচ্ছে
- জরুরি পরিষেবার রিহার্সাল শুরু হয়েছে বহু জায়গায়
- রিলিফ ক্যাম্প প্রস্তুত রাখা হচ্ছে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে
- সম্ভাব্য ঘরছাড়া মানুষের স্থানান্তরের পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
সরকারি মহলের দাবি, এটি সম্পূর্ণ “প্রো-অ্যাকটিভ স্টেপ”। তবে কিছু বিরোধী দল প্রশ্ন তুলেছে, “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক যে যুদ্ধ-সদৃশ প্রস্তুতির কথা বলছে, তার ভিত্তি কতটা বাস্তব এবং কতটা রাজনৈতিক প্রচার?”
দেশের সীমান্তে যদি উত্তেজনা বাড়ে, তবে অভ্যন্তরেও তার প্রভাব পড়ে। এই বাস্তবতা মাথায় রেখেই কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে ফ্রি হ্যান্ড দিয়েছে।
এবার দেখার, কতটা কার্যকরভাবে রাজ্য প্রশাসন এই চ্যালেঞ্জ সামলাতে পারে।