গতকাল রাত ছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এক দুঃস্বপ্নের রাত। চলছিল আইপিএল ২০২৫-এর গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচ—আচমকা স্টেডিয়ামে ব্ল্যাকআউট, টিভি সম্প্রচার বন্ধ, এবং কড়া নিরাপত্তা সতর্কতা। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘোষিত হলো:
“আইপিএল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
গত রাতের ম্যাচ: এক রহস্যে মোড়া অন্ধকার
ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে চলছিল পাঞ্জাব কিংস (PBKS) বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস (DC)-এর হাইভোল্টেজ ম্যাচ। উত্তেজনার চূড়ায় পৌঁছেছিল খেলা, তখন ছিল ১৪তম ওভার। ঠিক তখনই আচমকা গোটা স্টেডিয়াম অন্ধকারে ডুবে যায়।
প্রথমে মনে হয়েছিল এটি সাধারণ কোনও টেকনিক্যাল ত্রুটি। কিন্তু মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই টিভি ও অনলাইন সব সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়, মাঠে উপস্থিত দর্শকদের ধীরে ধীরে স্টেডিয়াম থেকে বের করে দেওয়া শুরু হয়, এবং মোবাইল নেটওয়ার্কও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই স্পষ্ট হয়, এটি কোনও প্রযুক্তিগত সমস্যা নয়, বরং এক গভীর জাতীয় নিরাপত্তাজনিত সিদ্ধান্তের অঙ্গ। সেই রাতেই আইপিএল ২০২৫ স্থগিতের ঘোষণা আসে।
বিসিসিআই-এর ঘোষণা
আজ সকালে বিসিসিআই জানায়,
বর্তমান জাতীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে আমরা আইপিএল ২০২৫ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করছি। খেলোয়াড়, দর্শক এবং দেশের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত অত্যাবশ্যক।
আবেগের বিস্ফোরণ
দর্শকদের চোখে জল, ক্রিকেটারদের মুখে হতাশা—কেউ বিশ্বাসই করতে পারছে না যে, আইপিএল-এর মতো এক দানবীয় টুর্নামেন্ট এভাবে থেমে যাবে। সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে চলছে প্রতিক্রিয়ার ঢেউ—
- “ক্রিকেট হার মানল রাজনীতির কাছে”
- “শান্তি ফিরুক, খেলাধুলা ফিরুক”
শান্তি ও আশার প্রার্থনা
এই মুহূর্তে আইপিএলের চেয়েও বড় বিষয় দেশের নিরাপত্তা ও শান্তি। আমরা কামনা করি, যুদ্ধ যেন আর না বাড়ে, প্রাণ যেন না যায়, এবং দেশের প্রতিটি মানুষ নিরাপদে থাকুক।
ক্রিকেট আবার ফিরবে—কিন্তু আগে চাই শান্তির মাঠ।