জন্মাষ্টমী, ভাদ্র মাসের অষ্টমী তিথিতে পালন করা হয়, যেখানে ভগবান কৃষ্ণের জন্ম উৎসব ধুমধাম করে উদযাপিত হয়। এই পবিত্র উৎসবে ভক্তরা উপবাস রেখে রাত ১২টার সময় বিশেষ পূজা করেন এবং বাল কৃষ্ণের মূর্তি ঝুলিয়ে লীলাময় সঙ্গীত ও ভজনের মাধ্যমে আনন্দ প্রকাশ করেন।
জন্মাষ্টমীর অন্যতম প্রধান আচার হলো ছাপ্পান ভোগ – ৫৬ ধরনের মিষ্টি ও নোনতা খাবার যা কৃষ্ণকে অর্পণ করা হয়। এর পেছনে রয়েছে একটি কাহিনী: বর্ষাকালে ইন্দ্র দেবের ক্রোধে ভ্রিন্দাবনের লোকেরা বন্যায় বিপর্যস্ত হলে, ছোট কৃষ্ণ গোভর্ধন পার্বত নিজের ছোটো আঙুলে তুলে সাত দিন ধরে সকলকে রক্ষা করেন। কৃষ্ণ প্রতিদিন আটটি খাবার খেতেন, তাই সাত দিনের জন্য ৮×৭ = ৫৬ প্রকার খাবার উৎসর্গ করা হয় কৃষ্ণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে।
মাখন মিশ্রি, খীর, জিলিপি, পুরি, পকোড়া, খিচুড়ি—এই সব পদ মিলিয়ে চপ্পান ভোগ কৃষ্ণভক্তদের হৃদয়ের প্রেমের নিদর্শন।
জন্মাষ্টমী এবং ছাপ্পান ভোগের এই ঐশ্বরিক উৎসব ভগবান কৃষ্ণের শিক্ষা, স্নেহ ও রক্ষার বার্তা বহন করে, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ভক্তদের অনুপ্রাণিত করে।