গত সপ্তাহে কলকাতার বায়ুদূষণ এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এটি দিল্লির পরিসংখ্যানে পিছনে ফেলেছে। ৬ থেকে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে শহরের বায়ু গুণমান সূচক (AQI) ১৮৪ থেকে হৃৎপিণ্ডের মতো লাফিয়ে ৪৩৯–এ পৌঁছেছে। ১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায়, এটি ‘সিভিয়ার’ থেকে ‘হ্যাজার্ডাস’ স্তরে প্রবেশ করে। সেই দিন রাত ১১টা নাগাদ AQI ৫৫৮–এ পৌঁছায়, যা দিল্লির সর্বোচ্চ AQI ৪৭৭–এর তুলনায় অনেক বেশি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যখন AQI ৪০০–র বেশি হয়, তখন সব বয়সের মানুষের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, বুকের চাপা, চোখের জ্বালা এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। গত ২৪ ঘণ্টার দূষিত বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়া প্রায় ১১টি সিগারেট খাওয়ার সমান ক্ষতি করে।
ডাক্তারদের সতর্কতা—গর্ভবতী মহিলাসহ শিশু, বয়স্ক এবং যাঁরা শ্বাস–প্রশ্বাস বা হৃদ্রোগে আক্রান্ত, তাঁদের বাইরে বের হওয়া কিছুটা কমানো উচিত। শীতল হাওয়ায় বায়ুর দূষণ দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
শহরের বায়ুর গুণমান দ্রুত খারাপ হচ্ছে, তাই চিকিৎসকরা এখন মাস্ক এবং এয়ার পিউরিফায়ারকে অপরিহার্য হিসেবে চিহ্নিত করছেন। কলকাতা বর্তমানে একটি অস্বস্তিকর ও উদ্বেগজনক দূষণ পরিস্থিতির মুখোমুখি।