কলকাতা, পূর্ব ভারতের হৃদয়স্থলে অবস্থিত এক মহানগরী, যেটিকে শুধু একটি শহর বললে কম বলা হয় — এটি একটি আবেগ, একটি ইতিহাস, এবং সর্বোপরি, একটি সংস্কৃতির উজ্জ্বল প্রতীক। “সংস্কৃতির নগরী” নামে খ্যাত এই শহর কেবল সাহিত্য, সঙ্গীত, নাটক বা শিল্পের কেন্দ্রস্থলই নয়, বরং চিন্তা, বিতর্ক, এবং সৃজনশীলতার এক উর্বর ক্ষেত্র।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক, উৎপল দত্ত—এই শহরই তাঁদের জন্ম দিয়েছে, গড়ে তুলেছে, এবং তাঁদের সৃষ্টিকে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দিয়েছে। কলকাতার বইমেলা, নাট্যোৎসব, দুর্গাপুজো, পাড়া সংস্কৃতি—সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত আন্তরিক ও বৈচিত্র্যপূর্ণ সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল গড়ে তোলে।
এখানকার রাস্তা-ঘাট, চা-এর দোকান, কলেজ স্ট্রিটের বইপাড়া, নন্দনের সামনের তর্কবিতর্ক—সব কিছুতেই মিশে থাকে চিন্তার খোঁজ, শিল্পের প্রেম, এবং আত্মপরিচয়ের অনন্ত অনুসন্ধান। কলকাতা যেন প্রতিটি মানুষের মনে এক একটি গল্প বুনে চলে।
সংস্কৃতি এখানে শুধু একাধিক ঐতিহ্যের সমাহার নয়, এটি জীবনের এক অনিবার্য অংশ। তাই তো কলকাতা শুধু একটা শহর নয়, এটি একটি জীবন্ত সংস্কৃতি, যা প্রতিনিয়ত মানুষকে ভাবায়, জাগায় এবং গড়ে তোলে।