নিউরালিঙ্ক ইমপ্লান্টে জীবনের রূপান্তর: ইলন মাস্কের প্রথম ‘সাইবর্গ’ রোগী মারিও কার্ট খেলছেন

সার্জারির এক বছর পর, ইলন মাস্কের নিউরালিঙ্কের প্রথম ব্রেন চিপ ইমপ্লান্টপ্রাপ্ত ব্যক্তি নোল্যান্ড আরবাগ নিজের পরিবর্তিত জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। ২০১৬ সালে একটি সাঁতারের দুর্ঘটনার ফলে তিনি অঙ্গহীনতার শিকার হন, যার ফলে তার শরীরের নিচের অংশ সম্পূর্ণ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যায়।

২০২৪ সালে নিউরালিঙ্ক চিপটি তার মাথায় ইমপ্লান্ট করা হয়। একটি সার্জিক্যাল রোবট তার স্কলেপে কয়েনের আকারে একটি ছিদ্র তৈরি করে মস্তিষ্কে চিপটি স্থাপন করে, যা প্রায় ১,০০০টিরও বেশি নিউরন সংযুক্ত করে।

এই ব্রেন-কম্পিউটার ইন্টারফেসের সাহায্যে আরবাগ এখন তার কম্পিউটার পরিচালনা করছেন, মারিও কার্ট খেলছেন, টিভি সুইচ করছেন এবং এমনকি নিজের এয়ার পিউরিফায়ারও নিয়ন্ত্রণ করছেন, সবই শরীর না নাড়িয়েই।

বর্তমানে তিনি অ্যারিজোনার একটি কমিউনিটি কলেজে ভর্তি হয়েছেন এবং নিজের ব্যবসা ও পেশাদার বক্তৃতার পরিকল্পনা করছেন। প্রতিদিন প্রায় ১০ ঘণ্টা তিনি নিউরালিঙ্ক যন্ত্রটি ব্যবহার করে পড়াশোনা, গেমিং এবং বিভিন্ন কার্যকলাপ নিয়ে ব্যস্ত থাকছেন।

অপারেশনের পর কিছুদিন স্থায়ী থাকাকালীন ডিভাইসের কিছু থ্রেড স্থান পরিবর্তন করলে কার্যকারিতা সাময়িকভাবে কমে যেতে পারে, তবে নিউরালিঙ্কের দলের প্রচেষ্টায় তা দ্রুত সমাধান করা হয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়েই আরবাগ এখন নিজেকে অনেক বেশি স্বাধীন মনে করছেন এবং তাঁর জীবনে নতুন এক উদ্দেশ্য খুঁজে পেয়েছেন।

এই উদ্ভাবনী প্রযুক্তিটি তার জীবনকে পরিবর্তন করার পাশাপাশি, ভবিষ্যতে অসংখ্য মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *