‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’র কেন্দ্রে অবস্থিত মধ্যপ্রদেশ এখন অফবিট ও স্থানীয় পর্যটনের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। প্রকৃতি, ঐতিহ্য, হস্তশিল্প, নারীদের ক্ষমতায়ন এবং দায়িত্বশীল পর্যটনকে তুলে ধরে রাজ্যটি দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় ভ্রমণ গন্তব্যে রূপান্তরিত হচ্ছে। ঐতিহ্য, অবকাশ এবং বন্যপ্রাণির সংমিশ্রণে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের নজরকে টানছে অসাধারণভাবে।
এই বিশেষ ভ্রমণ ধারাবাহিকের প্রথম পর্বে আলোচিত হচ্ছে বুরহানপুর ও মন্দসৌরের কিছু অজানা রত্ন। বুরহানপুরে অবস্থিত ‘কালা তাজ মহল’ বা শাহ নবাব খানের সমাধি—১৬২২-২৩ সালে নির্মিত এই কৃষ্ণবর্ণ পাথরের সৌধটি ছোট আকারে তাজমহলের ছায়া বহন করে। উৎয়ালি নদীর তীরে সজ্জিত বাগানের সৌন্দর্য এবং শান্ত পরিবেশ এই স্থানটিকে সত্যিই বিশেষ করে তোলে।
শহরের গণ্ডির মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের পবিত্র তীর্থস্থান দর্গাহ-এ-হাকিমি। সাদা মার্বেলের তৈরি এই সমাধি কমপ্লেক্সটি শান্তি, আধ্যাত্মিকতা এবং মুঘল স্থাপত্যের অসাধারণ সমন্বয়। প্রতিবছর অসংখ্য ভক্ত এখানে প্রার্থনা করার জন্য এবং আশীর্বাদ নিতে আসেন।
বুরহানপুর থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরে আসীরগড় দুর্গ—সাতপুরা পর্বতের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা এই ১৫শতকের দুর্গকে ‘দাক্ষিণাত্যের দ্বার’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। এটি আকবর থেকে শুরু করে মারাঠা এবং ব্রিটিশদের মতো বিভিন্ন শাসকের যুদ্ধের সাক্ষী। এখানে রয়েছে গোপনেশ্বর মহাদেবের মন্দির, ভগ্নপ্রায় মসজিদ এবং বিস্তৃত স্থান।
দায়িত্বশীল ভ্রমণ, প্রকৃতির প্রতি রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গি এবং নতুন অভিজ্ঞতার সন্ধান—এই সবকিছু মিলিয়ে মধ্যপ্রদেশ বর্তমানে অফবিট পর্যটকদের জন্য একটি চূড়ান্ত গন্তব্য হয়ে উঠেছে। অভিযানের প্রতি প্রেম-ভরা ভ্রমণকারীরা এখানে এসে হতাশ হবেন না—এটাই আমাদের নিশ্চয়তা।