প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার জীবনের ভিত্তি তৈরি হয়েছে একটি সুশৃঙ্খল ও দেশপ্রেমে ভরা পরিবারে। তাঁর বাবা, প্রয়াত ডঃ অশোক চোপড়া, এবং মা, ডঃ মধু চোপড়া, দুজনেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর ডাক্তার ছিলেন।
বাবা অশোক চোপড়া ছিলেন সেনাবাহিনীর মেডিকেল কর্পসের চিকিৎসক, সঙ্গীতপ্রেমী ও সংবেদনশীল মানুষ। প্রিয়াঙ্কা তাঁকে জীবনের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা মানতেন। তাঁর মৃত্যুর পর, প্রিয়াঙ্কা হাতে “Daddy’s lil girl” ট্যাটু করান, যা তাঁর ভালোবাসার প্রতীক। তিনি ২০১৩ সালে ক্যান্সারে মারা যান।
মা মধু চোপড়া ছিলেন সেনাবাহিনীর একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি জীবনের শৃঙ্খলা ও আত্মনির্ভরতার শিক্ষা দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কাকে। অবসরের পর, তিনি প্রিয়াঙ্কার সাথে প্রযোজনা সংস্থা Purple Pebble Pictures শুরু করেন, যা আঞ্চলিক সিনেমাকে উৎসাহ দেয়।
সেনাবাহিনীতে চাকরির কারণে প্রিয়াঙ্কার শৈশব কাটে ভারতের বিভিন্ন শহরে, যেমন বেরেলি, পুনে ও লেহ। এই অভিজ্ঞতা তাঁকে আত্মবিশ্বাসী ও অভিযোজনক্ষম করে তোলে।
এইভাবেই, প্রিয়াঙ্কার জীবনের ভিত্তি তৈরি হয়েছে এক দেশপ্রেমে গড়া, শৃঙ্খলাপূর্ণ পরিবেশে—যা তাঁকে আজকের বিশ্ব তারকা হিসেবে গড়ে তুলেছে।