ভারত ৭ই নভেম্বর ২০২৫-এ উদযাপন করেছে তার জাতীয় গান বন্দে মাতরম এর ১৫০ বছর পূর্তি, যা দেশপ্রেম, ঐক্য এবং সংগ্রামের ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৫ সালে এই গানটি রচনা করেন, যা ১৮৮২ সালে তার উপন্যাস আনন্দমঠ-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরে এটি ভারতের মুক্তি সংগ্রামের একটি মহৎ প্রতীক হয়ে ওঠে।
৭ই নভেম্বর, ২০২৫ তারিখে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে বন্দে মাতরম এর ১৫০ বছর পূর্তির জাতীয় অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। এই বিশেষ অনুষ্ঠানে স্মারক ডাকটিকিট এবং কয়েন প্রকাশ করা হয়, পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গণসংগীতের আয়োজনও ছিল। সারা দেশের মানুষ একযোগে পূর্ণ সংস্করণটি গাইতে অংশগ্রহণ করে, যা সত্যিই দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও ঐক্যের একটি শক্তিশালী প্রতিফলন।
গণসংগীতের পাশাপাশি, বিভিন্ন স্থানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, আলোচনা সেশন, এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ করে, ভারতীয় রেলওয়ে ডিভিশন বন্দে মাতরম এর ১৫০ বছর উদযাপনের অংশ হিসেবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি আয়োজন করেছে। এই উদ্যোগটি জাতীয় ঐক্য এবং পরিবেশ সংরক্ষণের লক্ষ্য রাখছে।
১৯৫০ সালে ভারতীয় সাংবিধানিক সভা বন্দে মাতরম কে জাতীয় গান হিসেবে গ্রহণ করে। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় এই গানটি ভারতীয় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের একটি প্রধান অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছিল এবং এখনও এটি আমাদের দেশপ্রেম ও সংগ্রামের অবিচ্ছেদ্য প্রতীক হিসেবে বিদ্যমান।
এই বিশেষ দিনটি ভারতের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে পরিচিত, কারণ বন্দে মাতরম আজ পর্যন্ত আমাদের জাতীয় গর্ব, ঐক্য এবং সংহতির প্রতীক হয়ে রয়েছে।