জু’লজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া (ZSI) তাদের ১১০তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে এক অভিনব ১১০ ঘণ্টার হ্যাকাথনের আয়োজন করে, যা শেষ হয় নিউ টাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে সোমবার অনুষ্ঠিত গ্র্যান্ড ফিনালেতে। দেশের ১৬টি আঞ্চলিক কেন্দ্র থেকে একযোগে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল শতাধিক তরুণ গবেষক ও উদ্ভাবক।
গ্র্যান্ড ফিনালেতে পাঁচটি দল নির্বাচিত হয়। বিচারক মণ্ডলীতে ছিলেন বিজ্ঞানী, অধ্যাপক, কর্পোরেট কৌশলবিদ এবং কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা। বিজয়ী তিনটি দলকে যথাক্রমে ১ লক্ষ, ৭৫ হাজার এবং ৫০ হাজার টাকার পুরস্কার প্রদান করা হয়।
প্রথম স্থান অধিকার করে লাদাখ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল, যারা ট্রান্স-হিমালয় অঞ্চলের বিপন্ন প্রজাতি ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় সেন্সর ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর প্রযুক্তির সঙ্গে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণমূলক সংরক্ষণ পরিকল্পনা উপস্থাপন করে।
দ্বিতীয় স্থান পায় শিলং-এর সেন্ট অ্যান্থনিস কলেজের দল। তারা মেঘালয়ের গুহা বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করেছে, যা গুহা সম্পর্কিত তথ্য ও সেন্সর ডেটার মাধ্যমে সংরক্ষণে সাহায্য করবে।
তৃতীয় স্থানে আসে ওডিশার ফকির মোহন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল, যারা ভারতীয় হর্সশু ক্র্যাবের সংরক্ষণে একটি ক্যাপটিভ ব্রিডিং মডেল প্রস্তাব করেছে।
এই উদ্যোগে পরিবেশ সংরক্ষণে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানকে যুক্ত করার পাশাপাশি, স্থানীয় জ্ঞান ও সংস্কৃতির সঙ্গেও সমন্বয় করার দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে।