ভারতে ডেরিভেটিভস বাজারে লেনদেনের পরিমাণ আশ্চর্যজনক হারে বেড়েছে। এনএসই-তে ২০১৮-১৯ সালে ₹২.৩৭ লাখ কোটি থেকে ২০২৪-২৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ₹৭৮.৩৫ লাখ কোটি টাকারও বেশি। এই প্রবৃদ্ধির পেছনে রয়েছে তরুণদের আগ্রহ, সহজ প্রযুক্তিগত প্রবেশ এবং আর্থিক পণ্যে সহজলভ্যতা। তবে সমস্যার দিকটাও বড়। ফিউচার ও অপশন ট্রেডে ব্যক্তিগত ট্রেডারদের প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষতির মুখে পড়ছেন। FY22 থেকে FY24 সালের মধ্যে তাদের সম্মিলিত লোকসান ছাড়িয়েছে ₹১.৮ লাখ কোটি।
তবুও অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেডার এই ঝুঁকিপূর্ণ খাতে লেনদেন চালিয়ে যাচ্ছেন। ৩০ বছরের নিচে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ক্রমেই বাড়ছে, যা ভবিষ্যতের জন্য উদ্বেগজনক। যদিও ডেরিভেটিভস মূল সম্পদ ছাড়াই দামের ওঠানামা থেকে মুনাফার সুযোগ দেয়, বেশিরভাগ রিটেল ট্রেডার এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারছেন না। ফলে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো নজরদারি বাড়াচ্ছে এবং নীতিগত পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নিচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে আর্থিক সংকটে ডেরিভেটিভসের ভূমিকা বহুবার আলোচনার কেন্দ্রে এসেছে। ২০০৮ সালের মার্কিন সাবপ্রাইম সংকট, যাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে জনপ্রিয় চলচ্চিত্র The Big Short, সে অভিজ্ঞতা আবারও মনে করিয়ে দেয় — নিয়ন্ত্রণহীন লোভের বাজার কখনোই নিরাপদ হয় না।