রাজ্যে ঢুকে পড়েছে বহু প্রতীক্ষিত বর্ষা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গোটা রাজ্যে এখন বর্ষার সক্রিয় প্রভাব দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে এবং আগামী কয়েকদিন এই ধারা বজায় থাকবে বলেই পূর্বাভাস।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বুধবার (১৮ জুন) পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে।
বর্ষার এই আগমন স্বস্তি দিল তীব্র গরমে পুড়তে থাকা রাজ্যবাসীকে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজ্যে তাপপ্রবাহের দাপট ছিল চোখে পড়ার মতো। একটানা ৪০ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করা পারদ বর্ষার প্রথম বৃষ্টিতেই খানিকটা নিচে নেমেছে। শহর কলকাতার তাপমাত্রা এখন অনেকটাই সহনীয়।
তবে এই বৃষ্টির ফলে কিছুটা জলজটের সমস্যা দেখা দিতে পারে শহরাঞ্চলে, বিশেষত কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকাগুলিতে। ইতিমধ্যে কলকাতা পুরসভা ও অন্যান্য পৌর দফতরগুলি জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থাপনা নিয়ে তৎপর হয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, বর্ষার এই ধারা আগামী সপ্তাহ জুড়েই অব্যাহত থাকবে। কৃষিজগতের পক্ষেও এই বর্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চাষের জমিতে প্রথম চাষের জল হিসেবে এই বৃষ্টি যথেষ্ট উপকারী হবে।
সামগ্রিকভাবে বলা যায়, বর্ষা এসে পড়ায় রাজ্যের মানুষ যেমন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন, তেমনই বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রশাসনও রয়েছে সতর্ক অবস্থানে।