দেশে আবার বাড়ছে COVID আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃতীয় তরঙ্গ বা প্রজাতির রূপান্তরের ফলে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে দ্রুত গতিতে। উদ্বেগের বিষয়, চলতি বছরের তথ্য অনুযায়ী বয়স্কদের পাশাপাশি এখন করোনা ভাইরাসের থাবা পড়ছে শিশুদের উপরও।
শিশুদের আক্রান্তের হার বাড়ছে
সাম্প্রতিক স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এপ্রিল–জুন সময়কালে ০ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের হার বেড়েছে ১৮–২০ শতাংশ পর্যন্ত। গত বছরের তুলনায় এই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুরা সাধারণত বাইরে খেলাধুলা, স্কুল কিংবা কোচিং কেন্দ্রের মাধ্যমে একে-অপরের সংস্পর্শে বেশি আসে, ফলে দ্রুত COVID সংক্রমিত হচ্ছে। যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রে লক্ষণ হালকা—তবুও উপেক্ষা করলে তা মারাত্মক হতে পারে।
কেন চিন্তার কারণ?
- অভিভাবকদের অবহেলা: অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, পিতামাতা শিশুর সাধারণ সর্দি-জ্বরকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
- টিকাকরণ সীমাবদ্ধতা: এখনও পর্যন্ত ৫ বছরের নিচে শিশুদের জন্য কোভিড ভ্যাকসিন উন্মুক্ত নয়। ফলে এই বয়সের শিশুরা সম্পূর্ণ অসুরক্ষিত।
কী বলছেন চিকিৎসকরা?
শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অনিরুদ্ধ সেন বলেন, “হালকা জ্বর বা গলা খুসখুস হলেও COVID পরীক্ষা করানো উচিত। অনেক শিশুর ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে উপসর্গহীন অবস্থায় সংক্রমণ ছড়াচ্ছে পরিবারে।”
তিনি আরও বলেন, “শিশুদের বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ানো, মাস্ক পরানো ও গণপরিবহন এড়ানো জরুরি।”
কী করবেন অভিভাবকরা?
- শিশুর যেকোনও অসুস্থতাকে গুরুত্ব দিন
- বাইরে থেকে ফিরে ভালোভাবে হাত-মুখ ধোয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন
- স্কুলে বা খেলাধুলার সময় স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করুন
- স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলুন, যদি কোনও সংক্রমণের খবর থাকে
COVID সংক্রমণ যে এখনও শেষ হয়নি, তা একাধিক স্বাস্থ্যসংস্থার রিপোর্টই স্পষ্ট করছে। এই পরিস্থিতিতে শিশুদের নিয়ে যত্নশীল হওয়াই একমাত্র পথ। ছোটদের জন্য এখনই প্রয়োজন সাবধানতা ও সচেতনতা—কারণ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ রাখতে এই পদক্ষেপ আজই জরুরি।