আনন্দ থেকে বিষাদ: বেঙ্গালুরুতে উৎসবের মাঝে প্রাণহানি
আরসিবি (RCB)-র আইপিএল জয়ের পর বেঙ্গালুরুতে আয়োজিত হয়েছিল জাঁকজমকপূর্ণ বিজয় উৎসব। শহরের রাস্তায় লাখো সমর্থক, ঢাকঢোল, উল্লাস—সব মিলিয়ে যেন ছিল এক উৎসবের মঞ্চ। কিন্তু হঠাৎই সেই আনন্দ মুহূর্তে ছায়া ফেলে ভয়াবহ এক দুর্ঘটনা।
ভিড়ের চাপে পদদলিত হয়ে মৃত্যু হয় অন্তত ১১ জন RCB সমর্থকের। আরও বহুজন গুরুতর আহত হন। আনন্দ উৎসব বদলে যায় কান্নায়, চিৎকারে আর আতঙ্কে।
কেন চলল উৎসব, যখন চলছিল মৃত্যু?
এই ঘটনায় চরম সমালোচনার মুখে পড়েছে RCB ফ্র্যাঞ্চাইজি। প্রশ্ন উঠেছে— “যখন মৃত্যু হচ্ছে একের পর এক, তখন কীভাবে একইসাথে চলতে পারে উদযাপন?”
সমর্থকদের মতে, ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফ থেকে না ছিল পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, না ছিল সঠিক ভিড় নিয়ন্ত্রণ। এমনকি দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরও উৎসব থামানো হয়নি, যা আরও ক্ষোভের জন্ম দেয়।
শচীনের আবেগঘন প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনার পর টুইট করে শোকপ্রকাশ করেন শচীন তেন্ডুলকর। তিনি লেখেন—
“উৎসব হওয়া উচিত আনন্দের, নিরাপদ এবং একসাথে ভাগ করে নেওয়ার মতো। যাঁরা প্রিয় দলের জয় উদযাপন করতে এসে প্রাণ হারালেন, তাঁদের পরিবারদের জন্য গভীর সমবেদনা রইল। এটা হৃদয়বিদারক।”
What happened at Chinnaswamy Stadium, Bengaluru, is beyond tragic. My heart goes out to every affected family. Wishing peace and strength to all. 🙏
শচীনের এই প্রতিক্রিয়া সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে। অনেকেই বলছেন, এমন ঘটনার জন্য শুধু দুঃখপ্রকাশ যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন তদন্ত এবং দায়বদ্ধতা।
জনগণের দাবি: তদন্ত ও দায়বদ্ধতা
দেশজুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা চায়—
দায়ীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ হোক
ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে প্রকাশ্য ক্ষমা ও ক্ষতিপূরণ ঘোষণা হোক
ভবিষ্যতের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থার পুঙ্খানুপুঙ্খ মূল্যায়ন হোক
ক্রিকেট শুধু খেলা নয়, আবেগের নাম। আর সেই আবেগ যখন প্রাণহানির কারণ হয়, তখন প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। বেঙ্গালুরুর এই ঘটনা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল—উৎসবেরও একটা সীমা থাকা দরকার। আরসিবির মতো বড় ব্র্যান্ডের কাছে মানুষ শুধু জয় নয়, দায়িত্বশীলতা চায়।