নমস্কার, আমার দেশবাসীর জন্য আমার তরফে একটা ছোট্ট মেসেজ…’ – এই শব্দগুলিই হয়ে উঠল ইতিহাস। বুধবার ভারতীয় সময় দুপুর ১২টা ১ মিনিটে আমেরিকার ফ্লরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপিত হল অ্যাক্সিয়ম মিশন-৪ (Ax-4)। এই মিশনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে ছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা। রাকেশ শর্মার পর প্রায় ৪১ বছর পেরিয়ে ফের এক ভারতীয় পা রাখলেন মহাকাশে।
এই ঐতিহাসিক যাত্রা শুরু হওয়ার পর শুভাংশু মহাকাশ থেকে হিন্দিতে একটি আবেগঘন বার্তা পাঠান দেশবাসীর উদ্দেশে। তাতে তিনি বলেন,
এই মুহূর্তে স্পেসে খুব গর্ব অনুভব করছি। যখন আমরা লঞ্চ করছিলাম, তিরঙ্গা ছিল আমার কাঁধে। মনে হচ্ছিল এই যাত্রা শুধুই আমার নয়, গোটা দেশের।
শিশু মনে শেখার আনন্দে মহাকাশে
প্রথমবার মহাকাশে পা রেখেই শুভাংশু জানালেন এক অনন্য অভিজ্ঞতার কথা –
“আমি যেন শিশুর মতো করে শিখছি কীভাবে স্পেসে হাঁটতে হয়, খেতে হয়।”
স্পেস স্টেশনের স্বাভাবিক মাধ্যাকর্ষণবিহীন পরিবেশে প্রতিটি পদক্ষেপই এক নতুন চ্যালেঞ্জ। তবে সেই চ্যালেঞ্জকেই সাদরে গ্রহণ করেছেন শুভাংশু।
প্রযুক্তি, অনুপ্রেরণা ও গর্বের এক নতুন অধ্যায়
শুধু বিজ্ঞান নয়, এই মিশন দেশের লক্ষ লক্ষ তরুণের কাছে এক বিরাট অনুপ্রেরণা। শুভাংশুর মতে,
“এই মিশন আমাদের আশা, আমাদের লক্ষ্য, আমাদের অনুপ্রেরণার কথাও বলে। এটা বুঝিয়ে দিচ্ছে, আমরা কোন দিশায় যেতে চাইছি।”
১৪ দিনের এই স্পেস মিশনে শুভাংশুর সঙ্গী হচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেগি হুইটসন, পোল্যান্ডের স্লাওজ উজ়নানস্কি এবং হাঙ্গেরির টিবর কাপু। তাঁদের অভিজ্ঞতাই আগামী দিনের মহাকাশ গবেষণার পথে দিশা দেখাবে।
ভারতের ইতিহাসে আরও এক নতুন অধ্যায় যোগ করলেন শুভাংশু শুক্লা। তিনি একা নন, তাঁর সঙ্গে আছেন ১৪০ কোটির বেশি ভারতবাসী। তাঁর মহাকাশযাত্রা শুধু প্রযুক্তির জয় নয়, এটি এক জাতির সম্মান, গর্ব এবং ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি।