ভারতে বাড়ছে শিশুদের টাইপ-১ ডায়াবিটিস, চিন্তার ভাঁজ চিকিৎসকদের কপালে | Type 1 Diabetes in Children

ভারতে শিশুর ডায়াবিটিস: কোথায় নিয়ে যাচ্ছে এই উদ্বেগজনক চিত্র?

গত কয়েক বছরে ভারতে শিশুদের মধ্যে Type 1 Diabetes in Children আক্রান্ত হওয়ার হার আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে। চিকিৎসকদের মতে, প্রতিটি ১০ হাজার শিশুর মধ্যে এখন অনেকেই ইনসুলিন নির্ভর এই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে, যা আগে এতটা দেখা যেত না। প্রশ্ন উঠছে—এই হঠাৎ বৃদ্ধি কেন? কোথায় রয়েছে সমস্যার মূল?


টাইপ-১ ডায়াবিটিস কী?

Type 1 Diabetes in Children একটি অটোইমিউন রোগ। এই অবস্থায় শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভুল করে ইনসুলিন উৎপাদক কোষগুলিকে ধ্বংস করে দেয়। ফলে ইনসুলিন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়, এবং রক্তে গ্লুকোজ মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এটি সাধারণত শিশুকাল বা কৈশোরে ধরা পড়ে।


কেন বাড়ছে টাইপ-১ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা?

বিশেষজ্ঞদের মতে, নিচের কারণগুলো দায়ী হতে পারে ভারতের শিশুদের মধ্যে Type 1 Diabetes in Children বৃদ্ধির জন্য:

১. পরিবেশগত পরিবর্তন:

দূষণ, রঙিন খাবার, কেমিক্যালযুক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবারের ব্যবহার বৃদ্ধি শিশুর ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে তুলছে।

২. জিনগত প্রবণতা:

পরিবারে যদি আগে কেউ টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে শিশুদের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।

৩. খাদ্যাভ্যাসে বিপর্যয়:

অতিরিক্ত চিনি, ফাস্ট ফুড, এবং অস্বাস্থ্যকর ডায়েট শিশুর ইনসুলিন ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়।

৪. শহুরে জীবনযাত্রা ও স্ট্রেস:

নিম্ন এক্সারসাইজ, উচ্চ স্ট্রেস, এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাব Childhood diabetes India বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে।

৫. দেরিতে শনাক্তকরণ:

প্রথম দিকে লক্ষণগুলি খুব সূক্ষ্ম হওয়ায় অনেক সময় Type 1 Diabetes in Children শনাক্ত হয় না। ফলে রোগ ভয়ানক রূপ নেয়।


লক্ষণগুলি কী কী?

  • অতিরিক্ত পিপাসা ও প্রস্রাব
  • হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া
  • ক্লান্তি ও অসুস্থতা
  • মনোযোগের ঘাটতি
  • পেট ব্যথা বা বমি

করণীয় কী?

  • শিশুদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান
  • খাবারের উপর কড়া নজর দিন
  • ইনসুলিন ইনজেকশন ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন
  • সচেতনতা বাড়ান Pediatric type 1 diabetes বিষয়ে স্কুল ও পরিবারে

Type 1 Diabetes in Children এখন শুধু শহরের সমস্যা নয়, গ্রামেও এটি প্রবেশ করছে নীরবে। সময়মতো সচেতন না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ভয়াবহ স্বাস্থ্য সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। তাই শিশুর স্বাস্থ্য সম্পর্কে পরিবারের সদস্যদের আরও সজাগ হওয়া জরুরি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *