পুতুল শব্দটি শুনলেই আমরা মনে করি শিশুদের খেলার উপকরণ মাত্র। কিন্তু বাস্তবেই কি তাই?

ইতিহাসবিদদের অনুমোতে এই পুতুল নামক জিনিসটির উদঘাটন কৃষি সভ্যতার সময় থেকে। পৃথিবীতে চাষবাস কম করে দশ হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে, তাই তার থেকেই ধরা যেতে পারে এই পুতুলের ধারণটিও কতটা পুরোনো। এমনকি মহেঞ্জোদারো সভ্যতার স্থান খননের সময়ও অনেক আসবাব জিনিসপত্রের সঙ্গে পুতুলেরও খোঁজ পাওয়া যায়। যা ধরা যায় কৃষি মায়েরা তাদের সন্তানদের ব্যস্ত রাখার জন্য জল ও মাটি এই উপকরণ দিয়ে বানিয়ে দিত।
তারপর সেই পুতুলই শুধু শিশুদের খেলনা হিসেবেই নয় সেটি জড়িয়ে পড়েছে বিজ্ঞান, বিপণন, বিনোদন, বিদেশে শিশুশিক্ষা, চিকিৎসা সংস্থা, সংস্কৃতি ইত্যাদি বহুকিছুর মধ্যে। যেমন কম্পিউটার চালিত পুতুল নিয়মিত কাজে লাগানো বা শারীরবৃত্তীয় পুতুলের সাহায্যে পরিচালিত চিকিৎসা অপারেশনের একটি ব্যবহারিক প্রদর্শনী ইত্যাদি। তেমনি সাংস্কৃতিক বিষয়ও পুতুলনাঁচ বা পুতুলনাটক খুবই রকমভাবে প্রচলিত।


এই পুতুলনাঁচ বা পুতুলনাটক দেশে বিদেশে নানা ভাবে ও নানা কারণে আয়োজিত বা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।এবং তার সর্বাধিক সময় বিনোদনের উদ্দেশ্যে এটি পরিবেশিত হয়। কিন্তু শিশু কিশোর একাডেমি, যাদের মূল লক্ষ্যই হলো শিশু ও কিশোর – কিশোরীদের বিকাশের মাধ্যমে তাদের সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং সৃজনশীলতার বিভিন্ন ক্ষেত্রের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে আসা, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায়, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক বিভাগের অধীনে থাকা এই সংস্থাটি আয়োজিত করতে চলেছেন এক পুতুলনাটক কর্মশালা এবং সহযোগিতায় থাকছেন জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর, উত্তর ২৪ পরগনা। এই কর্মশালা পুতুল তৈরি ও চালনার মাধ্যমে উদ্দেশ্য শুধু বিনোদনই নয়, সৃষ্টিশীলতাও ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন।
এই বিশেষ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ৯ থেকে ১২ ই জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত, বারাসাত, প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। এখানে অংশ নিতে পারবে সপ্তম থেকে একাদশ শ্রেনীর ছাত্রছাত্রীরা।
এই পুতুল কর্মশালাটি শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়, এটি সৃজনশীলতা, কল্পনা আর ঐতিহ্যের এক জীবন্ত অভিব্যক্তি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *