অল্পস্বল্পেই ভাড়াবৃদ্ধি: Indian Railway -এর নতুন কৌশল কি ঘাটতি পূরণের উপায়?

Indian Railway ১ জুলাই ২০২৫ থেকে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিটের দাম সামান্য বাড়াতে চলেছে। নন–এসি কামরায় প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়ছে ১ পয়সা এবং এসি কামরায় ২ পয়সা। ফলত, হাওড়া থেকে দিল্লি পর্যন্ত সফরে নন–এসি যাত্রীদের অতিরিক্ত ১৪.৫০ টাকা, মুম্বইয়ের যাত্রীদের ১৭ টাকা এবং পাটনার ক্ষেত্রে ৫.৫০ টাকা বেশি গুনতে হবে।

Indian Railway -এর তথ্যানুসারে, বর্তমানে রেলের অপারেটিং রেশিও দাঁড়িয়েছে ৯৮.৩২। অর্থাৎ ১০০ টাকা রোজগারের জন্য খরচ হচ্ছে ৯৮.৩২ টাকা। যাত্রী পরিবহণে দীর্ঘদিন ধরেই লোকসানে চলছে রেল। এই পরিস্থিতিতে, বড়সড় পরিবর্তনের বদলে সামান্য ভাড়া বৃদ্ধি করেই ঘাটতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে রেল বোর্ড।

তবে লোকাল ট্রেনের ভাড়ায় কোনও পরিবর্তন আনা হচ্ছে না—শিয়ালদহ থেকে বেলঘরিয়া এখনও ৫ টাকায় যাওয়া যাবে।

রেল আধিকারিকদের মতে, রাজনৈতিক স্বার্থে বহু বছর ধরে ভাড়া না বাড়ানোয় এই আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছে ভারতীয় রেল। উদাহরণস্বরূপ, ২০১৩ সালে অপারেটিং রেশিও ছিল ৯০.২, যা এখন ছাড়িয়েছে ৯৮। ২০২১–২২ অর্থবর্ষে যাত্রিবাহী রেল পরিষেবায় ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল প্রায় ৬৮ হাজার কোটি টাকা।

বাণিজ্য বিভাগের কর্মীরা জানাচ্ছেন, পরিকাঠামো উন্নয়নে বিপুল বিনিয়োগ হলেও সেখান থেকে উপার্জনের উপায় ছিল না। তারা আরও বলছেন, দেশে অন্তত ৫০০টি ট্রেন এমন রয়েছে যেগুলো বন্ধ করলে খরচ কমবে এবং যাত্রাপথ হবে আরও মসৃণ।

দূরপাল্লার ট্রেনের ভাড়াবৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ২০০৩–০৪ সালে প্রতি কিমিতে মাথাপিছু খরচ ছিল ২৪ পয়সা, যা ২০২১–২২ তে বেড়ে দাঁড়ায় ৬৬ পয়সা। সেই হার অনুযায়ী ১ বা ২ পয়সা বাড়িয়ে রেল কতটা ঘাটতি পূরণ করতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে অনেকেরই। তবে Indian Railway -এর পক্ষ থেকে এটিই জানানো হয়েছে—এই সামান্য পরিবর্তনও দীর্ঘমেয়াদে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *